এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক ৩ সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ সদর পৌর মেয়রসহ ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬‘শ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা বিএনপি’র সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন জেলা আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় কার্যালয়ে মিটিং করে বিকাল ৪ টায় পায়রা চত্বরে সমাবেশের ডাক দেয়। এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, গান পাউডার, পেট্রোল বোমা, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝিনাইদহ শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সমাবেশ থেকে নেতারা ঝিনাইদহ শহরের বিএনপি অফিসসহ জেলার নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি, ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল করতে করতে এইচএসএস সড়কে উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে এসে বোমা মেরে মেইন গেট ভেঙে কার্যালয়ে ভিতরে ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর করে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে থাকা ৫টি এসি, ৮টি আলমারী, আসবাবপত্রসহ সমস্থ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
একই সময় জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড.এমএ মজিদের কলাবাগানে তিনতলা বাস ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় একটি প্রাইভেটকার, ৫টি মোটরসাইকেলসহ বাড়িতে থাকা সমস্থ আসবারপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মামলায় ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু, সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বিশ্বাসসহ ৪৬৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো.শাহীন উদ্দিন জানান,জেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন জেলা বিএনপি’র সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি।
Leave a Reply